দেশটিতে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শ্রমিকদের জীবনযাপনে। আগামী বছর দেশব্যাপী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগে চলতি বছরের মাঝামাঝিতে আরো একবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হয়েছিল। সর্বশেষ বাড়ানো মজুরি বছরের শুরুর সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ এবং বছরের মাঝামাঝি সময়ের তুলনায় ৪৯ শতাংশ বেশি।
শ্রমমন্ত্রী ভেদাত ইশখান বলেন, ‘শ্রমিকদের মূল্যস্ফীতির ভার থেকে বাঁচাতে মজুরি আরেক দফায় বাড়াতে পেরে আমরা আনন্দিত। দেশটির মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ বা ৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ন্যূনতম মজুরি উপার্জন করে। অন্যদের মজুরিও বেসিকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাড়ানো হবে।’
২০২১ সালের শেষের দিকে ২৫ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ মুদ্রা সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল তুরস্ক। লিরার (তুরস্কের মুদ্রা) অবমূল্যায়ন এখনো অব্যাহত। এ বছর ডলারের বিপরীতে লিরার বিনিময় হার প্রায় ৩৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। খাবার, ইউটিলিটি ও বাসা ভাড়ার মূল্য আকাশচুম্বী, যা বহন করা বেশির ভাগ তুর্কি পরিবারের জন্য কঠিন।
তবে মজুরি বাড়ানোর কারণে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত মাসে মূল্যস্ফীতি ৬২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছিল, মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৭০ শতাংশ থাকবে। এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার আরো বাড়াতে পারে।
এমআই
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                