ফ্রাঁসোয়া বিশ্ববিখ্যাত প্রসাধন ব্র্যান্ড লরিয়েলের প্রতিষ্ঠাতার নাতনি ও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ তার হাতে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ারের সূচকের হালনাগাদে দেখা যায়, বিশ্বের ১২তম ধনী ব্যক্তি ফ্রাঁসোয়া। তার পেছনে রয়েছেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। আগে রয়েছেন সম্প্রতি ল্যাটিন আমেরিকা থেকে প্রথম ১০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক হওয়া কার্লোস স্লিম।
বর্তমানে লরিয়েলের স্টক রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে। কভিড-১৯ মহামারীর পর ভোক্তারা বিলাসী পণ্যে খরচ বাড়ানোর পর এর বাজারদর চলতি বছরে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।
২০২২ সালে ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট মেয়ার্স ও তার পরিবার লরিয়েলের ৩৪ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক ছিলেন।
গত শতকের ত্রিশের দশকে ইউজিন শুলার লরিয়েল গ্রুপের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে উত্তরাধিকারী হন লিলিয়ান বেটেনকোর্ট। ২০১৭ সালে লিলিয়ান মারা গেলে উত্তরাধিকার সূত্রে মায়ের সম্পত্তি পান ফ্রাঁসোয়া। তিনি পরিবারিক হোল্ডিং কোম্পানি টেথিসের চেয়ারওম্যান ও লরিয়েল গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারওম্যান।
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্রসাধনী এ কোম্পানি ল্যানকম থেকে মেবেলাইন মতো নামী ব্র্যান্ডের অধিকারী। কোম্পানির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৪২ বিলিয়ন বা চার হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য বিক্রি করেছিল লরিয়েল।
চলতি বছরের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ান ব্র্যান্ড এসোপকে ২৫০ কোটি ডলারে কিনে নেয় লরিয়েল, যা ফরাসি কসমেটিকস জায়ান্টের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড অধিগ্রহণ।
অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক ফরাসি জায়ান্ট এলভিএমএইচের চেয়ারম্যানে বেহনা আহনোঁর তুলনায় ফ্রাঁসোয়া এখনো সম্পদের হিসেবে পিছিয়ে আছেন। সূচক অনুসারে, তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি। তার মোট সম্পদ ১৭৯ বিলিয়ন বা ১৯ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
এমআই