এমএফএস সেবার মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানে হিসাব (অ্যাকাউন্ট) খুলে অন্য সব প্রতিষ্ঠানে তাৎক্ষণিক লেনদেন করা যাবে। একইসঙ্গে ব্যাংক থেকে এমএফএস হিসাবে এবং এমএফএস থেকে ব্যাংকের হিসাবে তাৎক্ষণিক লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস্ ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী এবং এমএফএস প্রোভাইডারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, দেশে নগদ অর্থ লেনদেন হ্রাসের লক্ষ্যে এনপিএসবি (ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ) অবকাঠামো ব্যবহার করে সকল ব্যাংক এবং এমএফএস প্রোভাইডারদের মধ্যে ইন্টার-অপারেবিলিটি লেনদেন বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
এনপিএসবি’র মাধ্যমে ব্যাংক এবং এমএফএস প্রোভাইডারদের মধ্যে আন্তঃব্যবহারযোগ্য লেনদেন সেবা আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে চালু হবে। যেসব ব্যাংক ও এমএফএস প্রোভাইডার অদ্যাবধি ইন্টার-অপারেবিলিটি সিস্টেম চালুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি তাদের আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে এ সিস্টেমে লেনদেন শুরু করতে হবে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।
এ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে এক এমএফএস হিসাব হতে অন্য এমএফএস হিসাবে, এমএফএস হিসাব হতে ব্যাংক হিসাবে এবং ব্যাংক হিসাব হতে এমএফএস হিসাবে অর্থ স্থানান্তর করা যাবে। এক্ষেত্রে লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর চার্জ নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
>>> এক এমএফএস প্রোভাইডারের হিসাব হতে অন্য এমএফএস প্রোভাইডারের (পি-টু-পি) হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রাপক এমএফএস প্রোভাইডার প্রেরক এমএফএস প্রোভাইডার-কে সাকুল্যে লেনদেনকৃত অর্থের ০.৮০% ফি প্রদান করবে।
>>> ব্যাংক হিসাব হতে এমএফএস হিসাবে এবং এমএফএস হিসাব হতে ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের উভয় ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট এমএফএস প্রোভাইডার সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কে সাকুল্যে লেনদেনকৃত অর্থের ০.৪৫% ফি প্রদান করবে।
>>> ইন্টার-অপারেবল লেনদেনের জন্য অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও এমএফএস গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যমান লেনদেন ফি-এর অতিরিক্ত কোনো চার্জ ধার্য করতে পারবে না।
>>> ইন্টার-অপারেবল ব্যবস্থায় লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/এমএফএস হিসাবের প্রকরণ অনুসারে নির্ধারিত লেনদেন সীমা প্রযোজ্য হবে। এ নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত। গেল আগস্ট মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় নয় কোটি ২৯ লাখ ৩৭ হাজারে।
ইন্টার-অপারেবিলিটি সিস্টেমে একটি হিসাব থেকে বর্তমানে এমএফএস সেবা দেয়া ১৫টি প্রতিষ্ঠানেই অর্থ আদান-প্রদান করা যাবে। বিকাশের হিসাবধারীরা ইউক্যাশ, রকেট, এমক্যাশের গ্রাহকের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবেন। আবার ইউক্যাশের গ্রাহক বিকাশ, শিওর ক্যাশসহ সব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবেন। এছাড়া এমএফএস হিসাবধারীরা যেকোনো ব্যাংক হিসাবেও লেনদেন করতে পারবেন।