তবে কি কারণে প্রধানমন্ত্রী ইয়াসিন দেশটিতে জরুরি অবস্থা চাইছেন সেবিষয়ে এখনও জানা যায়নি। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ওই দুই সূত্র রয়টার্সকে এসব তথ্য দিয়েছে।
একটি সূত্র বলছে, প্রস্তাবিত জরুরি অবস্থার মধ্যে সংসদ অধিবেশনের স্থগিতাদেশও অন্তর্ভুক্ত থাকবে; যা আগামী নভেম্বরে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
মাত্র দুটি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মুহিদ্দিন ইয়াসিন গত মার্চে মালয়েশিয়ার ক্ষমতায় আসেন। প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহীম গত মাসে তার পক্ষে পর্যাপ্তসংখ্যক সাংসদের সমর্থন রয়েছে বলে ঘোষণা দেয়ার পর থেকে চাপে রয়েছেন ইয়াসিন। এছাড়া করোনাভাইরাসের পুনরুত্থানও মুহিদ্দিনের জন্য অতিরিক্ত সঙ্কট তৈরি করেছে।
সংসদে আগামী ২০২১ সালের বাজেট অধিবেশন ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সংসদে বাজেট বিল পাসের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এছাড়া বাজেট পাস করতে ব্যর্থ হলে তা প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিনের ওপর অনাস্থা হিসেবে গণ্য এবং নতুন নির্বাচন উসকে দিতে পারে। কিন্তু জরুরি অবস্থা জারি হলে বাজেট পাসের জন্য ভোটাভুটির দরকার হবে না।
প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিনের জরুরি অবস্থা জারির প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী নেতা আনোয়ার বলেন, আমাদের এমন সরকার রয়েছে; যাদের বৈধতা নেই। যারা জানে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন দেখাতে পারবে না। ক্ষমতার অপব্যবহারের ন্যায্যতার অযুহাত হিসেবে করোনাভাইরাস সঙ্কটকে ব্যবহার করছে সরকার।
মালয়েশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি অথবা জনশৃঙ্খলার জন্য কোনও কিছু হুমকি হিসেবে দেখা দিলে তবেই কেবল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন রাজা। মালয়েশিয়ায় সর্বশেষ ১৯৬৯ সালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। ওই বছর দেশটিতে বেসামরিক সংঘাত এবং জাতিগত দাঙ্গা দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেয়া হয়।