সিএনএনের খবরে জানা যায়, সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এ মাসের শুরুর দিকে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত বৃহস্পতিবার থেকে টিকা পরীক্ষা শুরুর অনুমোদন দিয়েছে। তার আগে টিকাটির সব বৈশ্বিক নিরাপত্তা তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। এরপর তা নিরাপদ বলে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দেশেও টিকাটির পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে।
অংশগ্রহণকারী এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়ায় জনসন অ্যান্ড জনসন ১২ অক্টোবর তাদের টিকা পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার জনসন অ্যান্ড জনসন জানায়, ওই ব্যক্তি কেন অসুস্থ হয়েছিলেন, তা জানা যায়নি।
জনসন অ্যান্ড জনসন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে টিকা পরীক্ষা শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। তবে ঠিক কবে পরীক্ষা শুরু হবে, তা জানায়নি জনসন অ্যান্ড জনসন। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহে টিকার পরীক্ষা শুরু হতে পারে। ইনস্টিটিউট রিভিউ বোর্ডের অনুমোদনের জন্য এটি আটকে আছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার পরীক্ষা শুরু হয় এবং আটটি দেশের ৬০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের টিকা তৈরিতে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে যে চারটি টিকা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় রয়েছে এটি তার মধ্যে অন্যতম।
যুক্তরাজ্যের ৩৭ বছরের এক নারীকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পরীক্ষার অংশ হিসেবে ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর তাঁর পর ট্রান্সভার্স মাইলিটিসি ধরা পড়ে। এটি স্পাইনাল কর্ডসংক্রান্ত জটিলতা।
সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা পরীক্ষা নিয়ে কতটা সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে তার উদাহরণ হলো এই দুটি প্রতিষ্ঠানের টিকা পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘটনা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, টিকা পরীক্ষার সময় তা বন্ধ রাখা নিরাপত্তা প্রক্রিয়া যাচাইয়ের একটি অংশ। নিয়ন্ত্রকেরা টিকা পরীক্ষায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, তা যাচাই করে দেখতে পারেন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, তাদের চূড়ান্ত টিকা পরীক্ষার ফল এ বছরের শেষ দিকে জানা যেতে পারে। যেখানে টিকাটির পরীক্ষা চলছে সেখানকার সংক্রমণের হারের ওপর এ ফল নির্ভর করছে।