গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব থেকে ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দেয়ার পদ্ধতি মঙ্গলবার থেকে চালু হবে। এ পদ্ধতি চালুর ফলে ব্যাংক থেকেও সব মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় টাকা পাঠানো যাবে। আবার বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ ও ইউক্যাশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে টাকা লেনদেন করতে পারবে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ও ব্যাংকের মধ্যে এ আন্তঃলেনদেনকে ‘ইন্টারঅপারেবল’ বলে আখ্যা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বেশ কিছুদিন থেকে আন্তঃলেনদেনের কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চলে আসছিল।
আন্তঃলেনদেন কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, শেষ মুহূর্তে কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ায় ব্যাংক হিসাব থেকে মোবাইলে এবং মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর আন্তঃলেনদেন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি। ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। কারিগরি ত্রুটি সারিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। লেনদেনের এ পদ্ধতি ঠিক কখন চালু করা সম্ভব হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে ইন্টারঅপারেবল লেনদেনের ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এতে বলা হয়, এ লেনদেন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে এক এমএফএস হিসাব থেকে অন্য এমএফএস হিসাবে, এমএফএস হিসাব থেকে ব্যাংক হিসাবে এবং ব্যাংক হিসাব থেকে এমএফএস হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিভিন্ন হারে ইন্টারচেঞ্জ ফি প্রযোজ্য হবে।
এক এমএফএস প্রোভাইডারের হিসাব থেকে অন্য এমএফএস প্রোভাইডারের (পি-টু-পি) হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রাপক এমএফএস প্রোভাইডার প্রেরক এমএফএস প্রোভাইডারকে সাকল্যে লেনদেনকৃত অর্থের শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ ফি প্রদান করবে। অর্থাৎ বিকাশ থেকে যদি রকেটে ১ হাজার টাকা স্থানান্তর হয়, তাহলে রকেট বিকাশকে ৮ টাকা ফি দেবে।