সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শক্তিশালী টাইফুন মোলাভের কারণে মুষলধারে বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়। মধ্য প্রদেশের কোয়াং নামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গভীর রাতে ভূমিধসে ১৯ জন নিহত এবং এখনো ৪৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান প্রচেষ্টা ব্যহত হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সমুদ্রে প্রবল ঝড়ের মুখে পড়ে ১২ জন জেলের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ত্রিন ডিং ডুং একটি বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা ঝড়ের গতিপথ কিংবা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে পারি। তবে ভূমিধস কখন হবে- তা অনুমান করতে পারি না। অঞ্চলটিতে এখনো ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত এবং সড়কটি গভীর কাদা-মাটিতে ঢাকা রয়েছে। তবে উদ্ধার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, তীরে ফিরে আসার চেষ্টা করার সময় দুইদিন আগে নৌকাডুবির পর বৃহস্পতিবার ১২ জন জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জেলেদের নৌকাডুবির পর থেকে নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে এবং এখনো ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
এর আগে ভয়াবহ এই টাইফুনের আশঙ্কায় মধ্যাঞ্চলের প্রায় ৫ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। এছাড়া শত শত ফ্লাইট বাতিল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অক্টোবরের শুরুর দিকেও ভিয়েতনামে ঝড়, ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় কমপক্ষে ১৬০ জনের মৃত্যু এবং ১ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, টাইফুন মোলাভের কারণে কয়েক লাখ মানুষ বিদুত্ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং ৫৬ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, গ্রামগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে এবং ধ্বংসাবশেষ, গাছ উপড়ে ও ভূমিধসে রাস্তাগুলো অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, মধ্য ভিয়েতনামের কিছু অংশে শনিবার পর্যন্ত ৭০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে টাইফুন মোলাভ ফিলিপাইনের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। মোলাভের প্রভাবে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।