চার বছর আগে নানাইয়া প্রথম কোনো নারী সংসদ সদস্য হিসেবে নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট অধিবেশনে যোগ দেন যার থুতনিতে ছিল ঐতিহ্যবাহী ট্যাটু। মাওরি সম্প্রদায়ের এই বিশেষ ধরনের ট্যাটুকে বলে মোকো কাউয়ায়ে। অবশ্য দেশটির আগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্সও মাওরি সম্প্রদায়ের সদস্য।
নতুন দায়িত্ব ও সম্মান পেয়ে আপ্লুত নানাইয়া মাহুতা রাষ্ট্রীয় বেতারকেন্দ্র রেডিও নিউজিল্যান্ডকে বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের হয়ে নেতৃত্ব দিতে পারার দায়িত্ব পেয়ে আমি নিজেকে খুব গর্বিত মনে করছি।
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের বামপন্থী লেবার পার্টি গত মাসের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় পায়। প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী লেবার পার্টি ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে পার্লামেন্টে ১২০ আসনের মধ্যে ৬৪টি জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। ১৯৯৬ সালে দেশটিতে বর্তমান রাজনৈতিক কাঠামো ও ব্যবস্থা চালুর পর পার্লামেন্টে কোনো দলের এককভাবে এটিই সর্বাধিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
আরডার্নের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী পার্লামেন্ট ও মন্ত্রিসভা হতে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বৈচিত্র্যপূর্ণ আইনসভা। এই পার্লামেন্টের প্রায় অর্ধেক সদস্য নারী, যা বৈশ্বিক গড়ের (২৫%) চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমানে বেশি।
এছাড়া এবারের সংসদ সদস্যদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ থাকছেন এলজিবিটিকিউ (তৃতীয় লিঙ্গ), যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে এই তকমাটি ছিল যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্সের। যেখানে প্রকাশ্যে সমকামী ঘোষণা দেয়া সদস্য রয়েছেন প্রায় ৭ শতাংশ। নিউজিল্যান্ডের নতুন উপ-প্রধানমন্ত্রী গ্র্যান্ট রবার্টসন নিজেও সমকামী।
আজ নতুন মন্ত্রিপরিষদ ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন বলেন, এটা এমন এক মন্ত্রিসভা এবং নির্বাহী বডি যা গঠন করা হয়েছে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। সেই সঙ্গে এখানে অবিশ্বাস্যরকম বৈচিত্র্যও রয়েছে। আমি এটি নিয়ে গর্বিত। নিউজিল্যান্ডবাসী যাদের নির্বাচিত করেছেন সেটির প্রতিফলনই এখানে রয়েছে।