মিসরের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০১৪ সালে লিবিয়া সীমান্তের কাছে হামলা চালিয়ে সামরিক বাহিনীর ২২ সদস্যকে হত্যা করা হয়। ওই হামলার ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্ন মামলায় হিশাম আল আশ্মাভি অভিযুক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের কাছে আনুগত্য স্বীকারের আগে হিশাম সিনাইভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী আনসার বায়াত আল মাকদিসের নেতৃত্ব দেন। পরে ২০১৮ সালে লিবিয়ার একটি শহরে ধরা পড়েন। ২০১৯ সালের মে মাসে তাকে সেখানকার বিদ্রোহী গোষ্ঠী খলিফা হাফতার বাহিনীর মাধ্যমে দেশে পাঠানো হয়।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, হিশামের সঙ্গে আরও ৩৬ জনকে সন্ত্রাদবাদে যুক্ত থাকার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এখন এ মামলাগুলো দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি ও সর্বোচ্চ ইসলামি আইন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। দেশটির আইন অনুযায়ী, সর্বোচ্চ সাজা কার্যকরের আগে মামলাগুলো তার কাছে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
গ্র্যান্ড মুফতির আইনি কার্যক্রম শেষে দণ্ডাদেশ নিশ্চিত করতে আগামী ২ মার্চ বিচার কার্যক্রমের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছেন আদালত।
এর আগে গত নভেম্বরে সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক আইনের আরেকটি মামলায় হিশামকে মৃত্যুদণ্ড দেন সামরিক আদালত। ইতিপূর্বে দেশটির বেসামরিক আদালতও তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।