গত ২৮ অক্টোবর রাজশাহী বিভাগীয় স্পেশাল জজ মোসাম্মৎ ইসমত আরা এ রায় দেন। তবে সোমবার এই রায় প্রকাশ হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখার সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. আবরার হোসেন খান ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার (ক্রেডিট) মাজহারুল ইসলাম। এরই মধ্যে তাদের চাকরিচ্যুত করেছে ব্যাংকটি। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না তারা।
এ মামলার অপর আসামি ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি খন্দকার মাইনুল ইসলাম। তিনি ব্যাংকটির ঋণগ্রহীতা ছিলেন। মৃত্যুবরণ করায় মাইনুল ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলার রায় হয়েছে আগে। কিন্তু সোমবার রায়টি প্রকাশ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশ, প্রতারণা, জালিয়াতি ও স্বাক্ষর জাল করে যমুনা ব্যাংকের ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই নগরীর বোয়ালিয়া থানায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়।
পরবর্তী সময়ে মামলাটি দুদকে যায়। তদন্ত শেষে দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) আমিনুর রহমান ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচার শেষে রাজশাহী বিভাগীয় স্পেশাল জজ মোসাম্মৎ ইসমত আরা রায় দেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শহীদুল বলেন, রায়ে আসামিদের প্রতি রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেক আসামিকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৭০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে তিনি মামলাটি পরিচালনা করেন।
অর্থসংবাদ/ এমএস