করোনাভাইরাসের কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে মস্কোর। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির নানা উদ্যোগ বর্তমানে চলমান থাকলেও অল্প কয়েকটি ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে শেষ ধাপের পরীক্ষায় পৌঁছেছে।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন ওষুধপ্রস্ততকারক কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে জানানো হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে ১২ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ কোটি।
বিশ্বে সবার আগে রাশিয়ায় গত আগস্টে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য গামালিয়া ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের তৈরি ভ্যাকসিনের নিবন্ধন দেয়া হয়। যদিও ভ্যাকসিনটির বৃহৎ পরিসরে শেষ ধাপের পরীক্ষা সেপ্টেম্বরে শুরু হয়।
রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেছেন, আমরা তথ্য-উপাত্তে দেখছি, আমাদের খুবই কার্যকর একটি ভ্যাকসিন রয়েছে। তিনি বলেন, এটি এমন এক ধরনের সংবাদ; যা একদিন ভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারকরা তাদের নাতি-নাতনিদের সঙ্গে গল্প করবেন।
আরডিআইএফ বলছে, গামালিয়া ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনটি ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে প্রয়োগ করা হয়েছিল। দুটি করে ডোজ দেয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফলে ভ্যাকসিনটি করোনা প্রতিরোধে ৯২ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভ্যাকসিনটি তৈরি ও বিশ্বজুড়ে বাজারজাতকরণের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে রাশিয়ার এই সংস্থা।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৯ হাজার ৮৫১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৪৩২ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬০ জন এবং প্রাণহানি ঘটেছে ৩১ হাজার ৫৯৩ জনের।
সূত্র : রয়টার্স।