কোভ্যাক্স-কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি। কোভ্যাক্স একটি যৌথ আন্তর্জাতিক উদ্যোগ। এ উদ্যোগের যৌথ নেতৃত্বে আছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, দ্য কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপআই) ও দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (গ্যাভি)।
কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বে ২০০ কোটি ডোজ নিরাপদ ও কার্যকর টিকা সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কোভ্যাক্স উদ্যোগে আর্থিক ও বৈজ্ঞানিক সম্পদ ব্যবহারের পাশাপাশি ধনী দেশগুলোকে একত্র করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোয় টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোভ্যাক্সের উদ্যোক্তারা বলছেন, ২০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব হলেও আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন।
গ্যাভি জোট গতকাল শুক্রবার বলেছে, অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্টের (এএমসি) জন্য যে তহবিল জোগাড় করা হয়েছে, তাতে কোভ্যাক্স প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ কোটি ডোজ টিকা কিনবে। বিশ্বের যে ৯২টি দেশ টিকা কেনার সামর্থ্য রাখে না, তারা এ টিকা পাওয়ার উপযুক্ত হবে।
গ্যাভির প্রধান সেথ বার্কলে বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বজুড়ে সার্বভৌম এবং বেসরকারি দাতাদের কাছ থেকে লক্ষ্য পূরণে সহায়তা পেয়েছি। তবে করোনার চিকিৎসা ও রোগ শনাক্তকরণে আরও অর্থের জরুরি প্রয়োজন।’
বার্কলে বলেন, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ রোগ শনাক্তকরণ ও ৬১০ কোটি থেরাপির জন্য আরও ৫৩০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রয়োজন।
এক বিবৃতিতে গ্যাভি বলেছেন, করোনার টিকা প্রস্তুত হলে এবং নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পেলে আগামী বছরে টিকা পেতে আরও ৫০০ কোটি ডলার প্রয়োজন হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টিকা প্রস্তুতকারক ফাইজার ও বায়োএনটেক এ সপ্তাহে তাদের পরীক্ষামূলক টিকাটির প্রাথমিক ফলাফলে ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে। বার্কলে বলেছেন, কোভ্যাক্সে ওই টিকা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফাইজার।
অর্থসংবাদ/ এমএস