এক্ষেত্রে মধু অবশ্যই রোগ প্রতিরোধে একটি কার্যকরী ওষুধ। এতে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল। এ ছাড়া সর্দির জন্যও ভালো কাজ করে মধু। বিশেষ করে সাইনাস ও কনজিস্টেশন পরিষ্কার করে।
তবে ৪২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ওপরে হলে মধুর গুণ পরিবর্তন হয়ে বিষাক্ত হয়ে যায়। তাই আপনি যখন গরম পানিতে মধু মেশাবেন বা চায়ের জন্য ‘প্রাকৃতিক’ মিষ্টি হিসেবে চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করবেন, তখন খেয়াল রাখতে হবে তা যেন অতিরিক্ত গরম না হয়।
পানি বা চা কিছুটা ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। অর্থাৎ গরম পানি বা চা-এর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে থাকতে হবে। এ রকম অবস্থায় মধু মিশিয়ে পান করুন।
অনেকেই ঘুম থেকে ওঠে গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করেন, যা শরীর সতেজ করে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে। তাদের উচিত হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করা।
যাদের ওজন বেশি তারা গরম পানি, লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে এই পানীয় পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়। দীর্ঘ মেয়াদে ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
মধুতে থাকা উপাদান গরম কোনো কিছুর সংস্পর্শে বিষাক্ত হয়ে যায়। মধু কখনো কোনো পরিস্থিতিতে গরম করা বা রান্নায় ব্যবহার করা উচিত নয়। মধু এমনি খাওয়াই ভালো। বাজার থেকে কেনা মধু এমনিতেই প্রক্রিয়াজাত করার সময় তাপের সংস্পর্শে আসে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের কৌটায় বিক্রি হয়। এর ফলে মধুর গুণাগুণ এমনিতেই কমে যায়। তার ওপর গরম কিছুতে মিশিয়ে পান করলে কার্যকারিতা কমে যায়।
অর্থসংবাদ/এসএ