বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী ইলন মাস্ক নিজেই এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘করোনা পরীক্ষা করে ভিন্ন ভিন্ন ল্যাবে ভিন্ন ফল পেয়েছি। তবে আমার সংক্রমণ মাঝারি মাত্রার বলে ধারণা করছি। আমার উপসর্গ হচ্ছে হালকা ঠান্ডা লাগা। এটা আশ্চর্যের কিছু নয়। কারণ করোনা একধরনের ঠান্ডা লাগার সমস্যা।’
গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলা ও বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রধান ৪৯ বছর বয়সী ইলন মাস্ক টুইটারে এক মন্তব্যকারীর প্রশ্নের জবাবে লিখেছেন, ‘একটু কম-বেশি। গতানুগতিক ঠাণ্ডার মতোই মনে হচ্ছে আমার। কিন্তু হাঁচি/কাশির তুলনায় শরীরে আরও বেশি ব্যথা রয়েছে এবং মাথা বেশি ভার।’
চারবার করোনা পরীক্ষা করার পর দুইবারের পরীক্ষায় নেগেটিভ এবং দুইবারের পরীক্ষায় পজিটিভ ফল এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তিনি করোনা পরীক্ষার ফল পিসিআর পরীক্ষায় নাকি র্যাপিড টেস্ট থেকে পেয়েছেন, তা উল্লেখ করেননি। করোনায় ‘র্যাপিড টেস্ট’ এর চেয়ে ‘পিসিআর পরীক্ষা’ বেশি নির্ভরযোগ্য।
করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর ভাইরাসটি নিয়ে মানুষজনের উদ্বেগেরর বিপরীতে কথা বলেছিলেন ইলন মাস্ক। কিন্তু সেই করোনাভাইরাস শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই প্রায় এক কোটি দশ লাখ মানুষকে সংক্রমিত করেছে। কেড়ে নিয়েছে দেশটির ২ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ। এ ছাড়া হাসপাতালে রয়েছেন ৬৭ হাজারের বেশি।
অর্থসংবাদ/এসএ