দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন দাবি করছেন, করোনার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। কিন্তু কর্মসংস্থানের এমন চিত্র উঠে আঠায় তার এমন দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরকারি হিসাবে গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসে (ইপিএফও) নথিবদ্ধ সংস্থা কমেছে ৩০ হাজার।
বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশন খাতে বেতনের ১২ শতাংশ কেটে নেয়া হয়। সমপরিমাণ টাকা সংস্থাও জমা দেয়। এই দুই অংশের টাকা মিলিয়ে জমা থাকে ইপিএফও-তে।
সেপ্টেম্বরে ইপিএফও-তে টাকা জমা পড়া কর্মীর সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার। অক্টোবরে তা প্রায় ১৮ লাখ কমে হয়েছে ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ ২০ হাজার। এ ছাড়া এই সময়ে নথিবদ্ধ সংস্থা ছিল ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৮৬৯টি। অক্টোবরে তা কমে হয়েছে ৫ লাখ ৪ হাজার ৪৪। অর্থাৎ সংস্থার সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩০ হাজার ৮০০।
মার্চের শেষ সপ্তাহে ভারতে লকডাউন শুরু হয়েছিল। তখন এক ধাক্কায় কর্মী ও সংস্থা; দুই ক্ষেত্রেই ব্যাপক পতন হয়। কিন্তু লকডাউনের পর ‘আনলক’ পর্বে সেই পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের গ্রাফও বাড়ছিল। কিন্তু অক্টোবরে এসে যেন মুখ থুবড়ে পড়ল সেই ছবি।
এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, ‘হতে পারে এই পরিসংখ্যান এসেছে অর্থনীতি সংকোচনের জন্য। এ ছাড়া চাহিদায় (উৎপাদিত পণ্য) ঘাটতির কারণেও হতে পারে। এই রকম পরিস্থিতিতে এমন হতে পারে যে, সংস্থাগুলো আপাতত খরচ কমানোর জন্য ইপিএফ-ও তে টাকা জমা দিচ্ছে না।’
মহামারীর আগে থেকে ভারতের কর্মসংস্থানের চিত্রে অশনি সঙ্কেত ছিল। গত বছরের মে মাসে ৪৫ বছরে বেকারত্বের হার ছিল সর্বোচ্চ। মহামারিতে তা আরও ভয়াবহ হয়। কার্যত তলানিতে ঠেকে যাওয়া কর্মসংস্থানের এই চিত্র ধীরে ধীরে বদল হতে শুরু করার মধ্যে আচমকা এই হোঁচটে ফের শঙ্কার মেঘ ঘনিয়ে উঠছে।
অর্থসংবাদ/এসএ/১৮:৫৮/১১.১৮.২০২০