বুধবার রাশিয়ার খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী সংস্থার প্রধান দিমিত্রি ভসট্রিকভ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, চীন থেকে ফল, শাক-সবজি এবং সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য রাশিয়াতে রফতানি করা হতো, এ মুহূর্তে এ সব খাদ্যপণ্য সহজেই অন্য দেশ যেমন- তুরস্ক ও মরোক্কো থেকে প্রতিস্থাপন করা যাবে। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে তুর্কি গণমাধ্যম ইয়েনি শাফাক।
করোনাভাইরাসে ৪৯১ জন মারা যাওয়ার ঘটনায় আতংকে অনেক দেশ চীন থেকে আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।
ভসট্রিকভের তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালে ১১ মাসে ৪ লাখ ৫৩ হাজার টন শাক-সবজি চীন থেকে আমদানি করা হয়েছিল। যার বাজারমূল্য ছিল ৩৭০ মিলিয়ন ডলার। এরপরই রফতানির দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইসরাইল। দেশটি থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার টন শাক-সবজি আমদানি করেছে রাশিয়া। যার বাজারমূল্য ১৩৫ মিলিয়ন ডলার। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে তুর্কি। দেশটি থেকে ১ লাখ ৩৬ হাজার টন আমদানি করা হয়েছিল। যার বাজারমূল্য ১৪৮ মিলিয়ন ডলার।
করোনাভাইরাসটির উৎপত্তি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে। এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি মানুষ এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এটি প্রথমে প্রাণীদের শরীর থেকে মানবদেহে ঢুকেছে। পরে মানবদেহে একে অন্যের শরীরের সংস্পর্শে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
এ ভাইরাসটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এটি এশিয়া, ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ছড়িয়ে পড়েছে।
চীনের গণ্ডি ছাড়িয়ে করোনাভাইরাসটি বর্তমানে ২০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এগুলোর মধ্যে বেলজিয়াম, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, শ্রীলংকা, ফিলিপাইনস, ভারত, নেপাল, রাশিয়া ও কানাডা রয়েছে।