ভার্চুয়াল এ সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল-আজিজ আল সৌদ। তিনি মহামারী প্রতিরোধে জি২০ দেশগুলোর ২১ বিলিয়ন ডলার এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ১১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
সালমান বিন আবদুল-আজিজ আল সৌদ বিশ্বনেতাদের আবেদন জানান ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধাগুলো আরো বিস্তৃত করতে। পাশাপাশি করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়া দেশগুলোর দিকেও দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সৌদি বাদশা বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে একযোগে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এবং আমাদের সংকট প্রশমনের নীতি গ্রহণের মাধ্যমে মানুষদের আশা ও আকাঙ্ক্ষার শক্তিশালী একটা বার্তা দেয়া।
করোনা মহামারি সামনে রেখে মূল সম্মেলনের পাশাপাশি বিশ্বনেতারা ‘মহামারীর প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া’ নামে আলাদা বৈঠকও করেছেন। সে সময় অন্য নেতারাও মহামারীর প্রভাব মোকাবেলায় কিং সালমানের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, করোনার একমাত্র কার্যকর প্রতিক্রিয়া হতে পারে সংহতির ভিত্তিতে একটি সমন্বিত ও বৈশ্বিক উদ্যোগ। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল বলেন, করোনা হচ্ছে একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, যা কেবল বৈশ্বিক প্রচেষ্টা দ্বারা জয় করা সম্ভব। সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি চার্লস মিকেল বলেন, করোনা আমাদের অনেককে বিস্মিত করেছে। কিন্তু এটা বিশ্বের প্রথম বৈশ্বিক মহামারী নয়। দুঃখজনকভাবে, এটি শেষও নয়। সামনের দিকে তাকিয়ে বিশ্বকে আরো ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
এ নিয়ে একই বছর দ্বিতীয়বারের মতো মহামারী নিয়ে আলোচনা করার জন্য জি২০ নেতারা ভার্চুয়ালি মিলিত হলেন। দি অ্যাসোসিয়েটস প্রেসের (এপি) রিপোর্ট অনুসারে, এর আগে মার্চে মহামারীর শুরুতে জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বিশ্বনেতারা।
অর্থসংবাদ/ এমএস/ ১৬: ১১/ ১১: ২৪: ২০২০