বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের সবগুলো তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমইএসপিডি বিভাগ।
এর আগে সরকার করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় কুটির, মাইক্রো, ছোট ও মাঝারি শিল্পের (সিএমএসএমই) জন্য সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার চলতি মূলধন দেয়ার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এ প্যাকেজের অর্ধেক অর্থেও যোগান দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ঘোষিত সার্কুলার মতে, এ প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় অনুপাত বাৎসরিক ঋণ বা বিনিয়োগের ৩০ শতাংশের বেশি হলে (যা কোনোভাবেই ৩৫ শতাংশের অধিক হতে পারবে না) সমানুপাতিক হারে উৎপাদন ও সেবা উপখাতে প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগের অনুপাত কমবে। তবে উৎপাদন ও সেবা উপখাতে প্রদত্ত সামগ্রিক ঋণের অনুপাত ৬৫ শতাংশের কম হবে না।
উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা উপখাতে গ্রাহকের ক্ষতির মাত্রা বিবেচনা করে নতুন ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রদেয় বিনিয়োগের পরিমাণ (চলতি মূলধন) সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নীতিমালা ও ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।
গ্রাহকের ক্ষেত্রে উল্লেখিত সীমা পূর্ববর্তী বছরে প্রদত্ত চলতি মূলধন ঋণ কিংবা বিনিয়োগ সুবিধার অধিক হবে না। প্যাকেজের আওতায় ঋণ বা বিনিয়োগ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
তবে সাকুর্লার ও সার্কুলার লেটারের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
জেড/অর্থসংবাদ১৯.৩৫/২৬.১১.২০২০