ইরানের সংবাদ সংস্থাগুলোর বরাতে বিবিসি জানাচ্ছে, ঘাতকরা তাকে গুলি করার আগে তার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। কূটনীতিকরা ওই পরমাণু বিজ্ঞানীকে ‘ইরানের বোমার জনক’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
মোহসেন ফখরিজাদেহ নামের ওই বিজ্ঞানী হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। এক সময় এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ওই বিজ্ঞানীর নাম করে বলেছিলেন, এই নাম স্মরণে রেখো।
এক দশক আগে একই কায়দায় একাধিক পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসরায়েলের হাত আছে বলে ধারণা করা হয়।
ফখরিজাদেহ ইরানের তথাকথিত আমাদ (আশা) কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন। ইসরায়েল এবং পশ্চিমা বিশ্ব মনে করে, এটি একটি সামরিক কর্মসূচি, এর আড়ালে ইরান মূলত পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। যদিও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলছে, ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকেই আমাদ কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গেছে। এই সংস্থার পরিদর্শকরা বর্তমানে ইরানের পরমাণু গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে নজরদারি করে।