বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ৪৮ লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে মৃত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ।
পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৯০৫।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪১। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬৫ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৫ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭১। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৭ জন।
ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫০। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৩১ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। স্পেন ষষ্ঠ। যুক্তরাজ্য সপ্তম। ইতালি অষ্টম। আর্জেন্টিনা নবম। কলম্বিয়া দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৬তম।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।
১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’।
গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে গতকাল বুধবার পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৭১৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মোট রোগী শনাক্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৩। গতকাল পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়। শুরুর দিকে দেশে করোনায় মৃত্যু ছিল অনিয়মিত। কিন্তু ৪ এপ্রিল থেকে গতকাল পর্যন্ত প্রতিদিন করোনায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রথম দফায় জুন-জুলাই মাসে করোনায় মৃত্যু বেড়েছিল। আগস্টে তা কিছুটা কমে আসে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত দৈনিক মৃত্যু তুলনামূলক কম ছিল। কিন্তু নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দৈনিক মৃত্যু আবার বেড়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএ