গত মাসে যৌথ উদ্যোগে নিজেদের মালিকানা পর্যালোচনা করার কথা জানিয়েছিল বোম্বার্ডিয়ার। এরপর এয়ারবাসের প্রকল্পটির ৩৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ মালিকানা কেনা নিয়ে আশাবাদ তৈরি হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি আয় প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছে কোম্পানি দুটি। তার আগেই একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এদিকে মালিকানা অধিগ্রহণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এয়ারবাস ও বোম্বার্ডিয়ার।
উন্নত প্রযুক্তির ন্যারোবডি উড়োজাহাজ প্রকল্পটিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ লগ্নির কারণে ২০১৫ সালে নগদ সংকটের মুখে পড়ে বোম্বার্ডিয়ার। সংকট কাটাতে অতিরিক্ত সম্পদ বিক্রি করে যাচ্ছে কোম্পানিটি। প্রসঙ্গত, গতকাল শেয়ারদর ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে লেনদেন শেষ হয়েছে বোম্বার্ডিয়ারের।
আর্থিক পরিস্থিতি উন্নয়ন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে স্মারকস্বরূপ ১ কানাডিয়ান ডলারের বিনিময়ে এয়ারবাসের কাছে প্রকল্পটির নিয়ন্ত্রণ ত্যাগ করে বোম্বার্ডিয়ার। এ মুহূর্তে প্রকল্পটিতে সামান্য মালিকানা রয়েছে কোম্পানিটির। বোম্বার্ডিয়ারের বাইরে প্রকল্পটিতে কুইবেকের স্থানীয় সরকারের অংশীদারিত্ব রয়েছে।
কোম্পানির রেল ডিভিশনে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ব্যয় রয়েছে বোম্বার্ডিয়ারের। এছাড়া কোম্পানির ঋণের পরিমাণও ৯০০ কোটি ডলারের বেশি। ফলে এ২২০ উড়োজাহাজের নির্মাণ ত্বরান্বিত করতে অতিরিক্ত নগদ অর্থের প্রয়োজন পড়তে পারে, এমনকি প্রকল্পটি রাইটডাউনও করতে হতে পারে বলে সতর্ক করেছে মন্ট্রিয়লভিত্তিক কোম্পানিটি।
যৌথ উদ্যোগটিতে ৫০ দশমিক ৬ শতাংশ মালিকানা রয়েছে এয়ারবাসের।