ফাইজার ও বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত টিকা দিয়ে পুরো কার্যক্রম এগিয়ে নেবে যুক্তরাজ্য। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে (এনএইচএস) আট লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে ফাইজার। এ টিকা করোনার বিরুদ্ধে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে এনএইচএস সার্ভিস প্রোভাইডার ক্রিস হপসন বলেন, মঙ্গলবার সেই কাঙ্ক্ষিত দিন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার দিন এটি।
উৎপাদকদের দাবি পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপে ভ্যাকসিনটি মানুষকে করোনা সংক্রমণ থেকে ৯৫ শতাংশ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। ভ্যাকসিনটির ৪ কোটি ডোজের অর্ডার দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটির প্রথম চালান দেশটিতে পৌঁছে গেছে। হাতে পাওয়ার পর সেগুলোকে একটি অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে। সেখান থেকেই এটি মানুষের ওপর প্রয়োগের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে বিতরণ করার কথা রয়েছে।
এ সপ্তাহ থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী অলোক শর্মা দাবি করেন- পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভালোভাবে এগিয়ে রয়েছেন তারা। ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরুর আগে আট লাখ ডোজ যুক্তরাজ্যের হাতে থাকবে বলে আত্মবিশ্বাসী বলে জানান তিনি। প্রথম দফায় আট লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
পরে বিবিসি রেডিও ফোর’র টুডে অনুষ্ঠানে অলোক শর্মা জানান, ২০২১ সালে বড় পরিসরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে। তিনি বলেন, নিশ্চিতভাবে আমরা এখন ফাইজার/বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন পেয়েছি আর আমরা এখন সেগুলো প্রয়োগের বিষয়ে কথা বলছি কিন্তু অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটিও বর্তমানে পর্যালোচনা করছে এমএইচআরএ (যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা)।
প্রাথমিকভাবে ওয়েলস ও স্কটল্যান্ড থেকে বিস্তৃত পরিসরে করোনার টিকা প্রয়োগের কর্মসূচি শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে তা পুরো যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে দেয়া হবে। দেশটিতে শুরুতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইরত ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা দেয়া হবে। প্রথম টিকা নেয়ার ২১ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
-বিবিসি ও এএফপি।