বিল গেটস বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে পরবর্তী চার মাস থেকে ছয় মাস হবে মহামারির সবচেয়ে খারাপ সময়। স্বাস্থ্য পরিমাপ ও মূল্যায়ন সংস্থার পূর্ভাবাস বলছে আরও ২ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে। তাই মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য নিয়মগুলো মেনে চললে একটি বিশাল সংখ্যক মৃত্যু হয়তো আমরা এড়াতে পারবো।’
সম্প্রতি আমেরিকায় রেকর্ড পরিমাণ আক্রান্ত, মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা ঘটেছে। ‘আমি ভেবেছিলাম যুক্তরাষ্ট্র এটি আরও ভালোভাবে সামাল দিতে পারবে’, বলেন গেটস।
তিনি বলেন, ‘যখন আমি ২০১৫ সালে পূর্ভাবাস দিয়েছিলাম তখন বলেছিলাম, (মহামারিতে) মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। অতএব মৃত্যু ঘটানোর ক্ষেত্রে ভাইরাসটি এখন যে অবস্থায় আছে তার চেয়ে আরও মারাত্মক হতে পারে। তবে যে বিষয়টি আমাকে অবাক করেছে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আমার পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে।’
ভ্যাকসিন গবেষণার জন্য বিল গেটস ও তার প্রতিষ্ঠান বিশাল অংকের অর্থ ব্যয় করছে। ‘আমরা খুবই দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছি। সিইপিআই নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরা অংশীদার হিসেবে কাজ করছি যা মার্কিন সরকারের পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ দানকারী,’ বলেন তিনি।
বিল গেটস আরও বলেন, ‘অতএব লক্ষণ, থেরাপি ও ভ্যাকসিন সম্পর্কে আমরা জানি বিজ্ঞান এখন কোথায় আছে। আমরা জানি কীভাবে টুকরোগুলো একসাথে জড়ো করতে হবে। তাই সংক্রামক ব্যাধির ক্ষেত্রে আমাদের যে দক্ষতা, যেটি সাধারণত উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গেই সম্পৃক্ত, তা এখন সংকট মোকাবেলায় সারা বিশ্বের ওপর প্রয়োগ করা হবে।’