জানা গেছে, ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলাের মাধ্যমে শুধু চলতি মূলধন খাতে এ প্রণােদনা ঋণ দেয়া হবে। এ ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে বছরে ১৪ শতাংশ। তবে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণগ্রহীতাদের জন্য ৯ শতাংশ সুদ প্রযােজ্য হবে। অবশিষ্ট ৫ শতাংশ সুদ ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করবে সরকার। তহবিলের মেয়াদ থাকবে পাঁচ বছর, তবে সরকার সুদ ভর্তুকি দেবে এক বছর পর্যন্ত।গেল সপ্তাহে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে এ-সংক্রান্ত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, করােনার প্রভাব মােকাবেলায় প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সর্বোপরি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাড়ানাের ক্ষেত্রে ঘােষিত প্রণােদনা প্যাকেজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সরকার।এছাড়া দেশের সার্বিক তথনৈতিক উন্নয়নে বিশেষত কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দ্রুত দারিদ্র নিরসনে সিএম-এসএমই খাত মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।
কিন্তু শুধু ব্যাংকিং চ্যানেলে এসব খাতের উদ্যোক্তাদের কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব খাতের একটি বড় অংশ 'মাইক্রোফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশন' (এমএফআই)এর মাধ্যমে ঋণ নিয়ে থাকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত এম.এফআই তথা ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলাের মাধ্যমে সিএমএসএমই খাতে প্রণােদনা ঋণ প্রদানে পৃথক একটি নীতিমালা দরকার।