প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ আকর্ষণে বর্তমানে তিন ধরনের বন্ড প্রচলিত আছে। এর মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি ওয়েজ আর্নার ডেভলপমেন্ট বন্ডে সুদহার নির্ধারিত আছে ১২ শতাংশ। তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডে সাড়ে ৭ শতাংশ সুদ নির্ধারিত আছে। আর তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে সুদ নির্ধারিত আছে সাড়ে ৬ শতাংশ।
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ সীমাও কমিয়েছে সরকার। গত বছর থেকে চার ধরনের সঞ্চয়পত্রে একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ অথবা যৌথ নামে এক কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ রয়েছে। আগে চার ধরনের সঞ্চয়পত্রের ঊর্ধ্বসীমার আলোকে একক নামে এক কোটি ৫৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যেতো। এক্ষেত্রে একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ সুদে ৫০ লাখ টাকা রাখতে পারেন। তিনি নারী হলে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ সুদে রাখতে পারেন ৪৫ লাখ টাকা। আর পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ সুদে ৩০ লাখ ও তিন বছর মেয়াদি তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ সুদে ৩০ লাখ টাকা রাখা যায়। আগে প্রত্যেক সঞ্চয়পত্রের এই ঊর্ধ্বসীমা পর্যন্ত একজন কিনতে পারতেন। এখন সব মিলিয়ে ৫০ লাখের বেশি কেনা যায় না।