আজ বুধবার লাইফ বীমা কোম্পানির গ্রাহকদের মৃত্যুদাবির চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বঙ্গবন্ধু আশার আলো-বীমা দাবি নিষ্পত্তির প্রয়াস’ নামে এই অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, মানুষকে বীমার প্রতি উদ্বুদ্ধ হওয়া দরকার এবং বীমার সাথে আরো বেশি সম্পৃক্ত হওয়া দরকার। যদি মানুষ সত্যিটা উপলব্ধি করতে পারে যে, বীমা শুধু একটি কমফোর্টেবল বিষয় নয়, এটা আমাদের একটি সুরক্ষাও অর্থাৎ এটার সাথে যদি ভেলুজ সম্পৃক্ত হয় তাহলে বেশি মানুষ এর সাথে সম্পৃক্ত হবে।
তিনি বলেন, বীমাখাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল অবদান রয়েছে। দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু প্রথম থেকেই শিল্প-কারখানার দিকে নজর দিয়েছেন। বীমাখাতের উন্নয়নে তিনি অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর প্রথমে তিনি তৎকালীন বীমা কোম্পানিগুলোকে জাতীয় করণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার আগে বঙ্গবন্ধু বীমাকে ব্যবহার করে সাংগঠনিক কাজ করেছেন। তাই স্বাধীনতার পর বীমাখাতকে তিনি ভুলে যাননি। এ খাতের উন্নয়নে তিনি অনেকগুলো কাজ করেছেন। বীমাখাতের সেবাকে আরো সুদৃঢ় করার জন্য তিনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যার সুফল আমরা পাচ্ছি।
সাবেক এই মূখ্য সচিব বলেন, বীমা দাবি পরিশোধে প্রয়াস অনুষ্ঠানের মতো আয়োজন আরো বেশি হওয়া দরকার। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখেছেন এসব অনুষ্ঠানে তা তুলে ধরা দরকার। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এর মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো হবে।