কোভিড-১৯ এর ঝুঁকির মুখেও সেবা দিয়ে যাওয়ায় এমন অন্তত ৭শ’ বিদেশিকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন জুনিয়র নাগরিকত্বমন্ত্রী মারলেন শিয়াপ্পা। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘তারা দেশের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতির প্রমাণ দিয়েছেন। এখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাদের প্রতিদান দেয়া।’ নিউইয়র্ক টাইমস সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরাল্ড ডারমানিন আঞ্চলিক অফিসগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন ‘সক্রিয় অবদান’ রাখা করোনা যোদ্ধাদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য। যাতে করে দ্রুততার সঙ্গে তাদের ন্যাচরালাইজেশন বা দেশের নাগরিকের অংশ করে নেয়া যায়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ৭০ জন আবেদনকারীকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে।
আরও ৭৯৩ জন নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছে শিয়াপ্পার অফিস। এছাড়া ‘উৎকৃষ্ট সেবাদাতাদের’ নাগরিকত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে ফ্রান্সে পাঁচ বছর অবস্থানের বাধ্যবাধকতা দুই বছরে নামিয়ে আনার নির্দেশনাও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নেতা হলে সবার পরে খেতে হয় -মার্কিন আইন প্রণেতা : কোভিড-১৯ এর টিকা পাওয়ার জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। রাজনৈতিক নেতা প্রভাবশালী ও অর্থবিত্তের মালিকরা যে কোনো মূল্যে নিজেদের জন্য টিকা নিশ্চিত করতে চান। এমনকি করোনাবিরোধী ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা তথা ডাক্তার-নার্স ও জরুরি সেবার কর্মীদের পেছনে ফেলেই নিজের টিকার জন্য হুড়োহুড়ি করছেন তারা।
এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে বিশ্বের নানা গণমাধ্যমে। ‘নেতারাই টিকা নিচ্ছেন আগে’ শিরোনামের একটি খবর বুধবার যুগান্তরেও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সব রাজনৈতিক নেতা ও আইণপ্রণেতা এক কাতারের নয়। ব্যতিক্রমও কিছু আছেন।
তারা চান আগে ডাক্তার-নার্স, জরুরি সেবাকর্মী ও জনগণ টিকার পাবেন। তারপরই তারা টিকা নেবেন।
উল্লেখযোগ্য কয়েকজন মার্কিন আইনপ্রণেতা হলেন- ব্রায়ান মাস্ট, ইলহাম ওমর, তুলসি গাব্বারড, জেফারসন ভ্যান ড্রিউ, সিনেটর র্যান্ড পল ও নতুন নির্বাচিত আইনপ্রণেতা ন্যান্সি ম্যাসি।