গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ১৫ জনকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে দু'জন সাবেক আইনপ্রণেতা রয়েছেন। এই দু'জন ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একজন তার নির্বাচনী প্রচারণার সাবেক সহকারী।
নিজের দীর্ঘ তালিকা থেকে অপরাধ ও দণ্ড থেকে মুক্তি দেওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে, সবদিক খোলা রেখে ৬ জানুয়ারিকে টার্গেট করে ছক কষছেন ট্রাম্প। ৩ নভেম্বরের ভোটের ফল পাল্টে দিয়ে ক্ষমতায় আরও চার বছরের জন্য থেকে যাওয়ার কথা বিভিন্ন ফন্দিতে জারি রাখছেন। এরই মধ্যে তার একটি সমর্থকগোষ্ঠী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পকে নিয়ে ভার্চুয়ালি বিকল্প অভিষেক অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। এ দিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের অভিষেক হবে।
মঙ্গলবার ফেসবুক ও টুইটারে এক পোস্টে নিজের রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের ওপর চড়াও হন ট্রাম্প। এতে তিনি বলেন, রিপাবলিকান পার্টিকে ভুলে গেলে চলবে না যে, তার সাহায্য ছাড়া সিনেটে দলের আটটি আসন কম হতো। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে এখন পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার কৃতিত্বও দাবি করেন তিনি।
এদিকে ট্রাম্পের ক্ষমার তালিকা কতটা বড় হয়, তা নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গন। এমনকি নিজের জন্যও তিনি ক্ষমাপত্রে স্বাক্ষর করতে পারেন বলে একসময় বলেছেন। শেষ মুহূর্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কাছে ক্ষমতা প্রদান করে ট্রাম্প নিজের জন্য সাধারণ ক্ষমা গ্রহণ করতে পরেন, এমন কথাও বলাবলি হচ্ছে।
২০ জানুয়ারির আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টি এখন ৬ জানুয়ারির দিকে। এদিন ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে গ্রহণ করা হবে। এটি সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এর আগে এই সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতায় কখনও বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে ট্রাম্পের কারণে এবারের পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। কারণ, কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে পদাধিকারবলে সভাপতিত্ব করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। সূত্র এএফপি, সিএনএন ও বিবিসি।