দ্য লোকাল ফ্রান্স নামের সংবাদমাধ্যম জানায়, ইউরোপে করোনায় প্রাণ হারানো ওই নারী চীনা পর্যটক। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগনেস বুজেনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ জানুয়ারি ফ্রান্সে আসেন তিনি। পরে করোনায় আক্রান্ত হলে ২৫ জানুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। চীনা ওই পর্যটকের বয়স ৮০ বছর।
এর আগে চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে হংকং, ফিলিপাইন ও জাপানে একজন করে মোট তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আজ সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ জনে।
গত ডিসেম্বরে চীনে এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়।
শুক্রবার দেশটিতে নতুন করে আরও ২ হাজার ৬৪১ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর ফলে চীনে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৪৯২ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে ফ্রান্স মোট ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে। তাদের মধ্যে ৬ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের নামকরণ করেছে কোভিড-১৯।
ফরাসী স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, নিহত ওই চীনা পর্যটকের মেয়েও করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে প্রত্যাশা করছেন মন্ত্রী আগনেস।
চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে বিশ্বের অন্তত ২৪টি দেশে এখন পর্যন্ত ৫০০ জনের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।