দর্শক-সমর্থকরা তো হতাশই। কি ভাবছেন টাইগার ক্রিকেটাররা? তারাও কি হতাশ? বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক অবশ্য মনে করেন, এতে হতাশার কিছু নেই।
মুমিনুলের কথা, ‘সত্যি কথা বলতে কি ওয়েস্ট ইন্ডিজ লাইনআপ দেখে আমি অবাক। তবে হতাশ হইনি। হতাশ হবার কোনো কারন আছে বলেও মনে করি না। বরং আমি উৎফুল্ল। মনের মধ্যে একটা স্বস্তিও বোধ করছি। একটা অন্যরকম ভালো লাগাও কাজ করছে। কারণ সৃষ্টিকর্তার দয়ায় আবার বেশ কয়েকমাস পর আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারছি। এ বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি আমরা।’
মুমিনুল যোগ করেন, ‘কোন দল আসছে, তারা কতটা সমৃদ্ধ, ভালো না মন্দ-তা নিয়ে না ভেবে বরং খেলাটাকে বড় করে দেখা উচিত। আমরা আবার ঘরোয়া ক্রিকেটের পাশাপাশি টেস্ট-ওয়ানডে খেলতে পারবো, সেই দিকেই নজর দেয়া উচিত। কাদের সাথে খেলা, সেই দলটি কেমন, তা ভেবে আসলে লাভও নেই।’
নিজ দলের ক্রিকেটারদের কাছেও আলাদা কোনো বার্তা নেই টাইগার টেস্ট অধিনায়কের। তার যুক্তি, ‘যারা দেশের হয়ে টেস্ট আর ওয়ানডে খেলেন, তারা সবাই পেশাদার। তাদের সবার পুরোদস্তুর পেশাদারি মানসিকতার। সেখানে খেলাটাই মুখ্য। সবাই জানে, আমাদের কাজ হলো খেলা এবং নিজের তথা দলের সেরাটা উপহার দেয়া। আমার মনে হয় আমরা নিজেদের নিয়েই ভাবছি। ভাববো।’
‘নিজেদের সেরাটা কিভাবে দেয়া যায়, অনেক দিন পর টেস্ট আর ওয়ানডেতে ফিরে কিভাবে সেরা পারফরম করা যায়, সবার ভাবনা আসলে সেটাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কেমন দল তা নিয়ে চিন্তার আসলে কিছু নেই। আমাদের নিজেদের কাজটা যাতে ভালোভাবে করতে পারি, সেটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত। আমি নিশ্চিত টিম বাংলাদেশের সবাই তেমনই ভাবছে।’
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে থাকার সময় বিশ্বের তাবৎ কর্মকাণ্ড ছিল বন্ধ। জনজীবন হয়ে পড়েছিল স্থবির। সেই অবস্থায় অন্যান্য খেলাধুলার মত ক্রিকেটও হয়নি। ১১৭ দিন বন্ধ থাকার পর জুলাই থেকে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে আবার মাঠে গড়ায় ক্রিকেট। এরপর ধাপে ধাপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকার শেরে বাংলায় ২০ জানুয়ারি প্রথম দিবা-রাত্রির ম্যাচ দিয়ে শুরু ওয়ানডে সিরিজ এবং ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু প্রথম টেস্ট।