ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মুকেশ রিলায়েন্স শিল্প পরিবারের সব ধরনের কারচুপির জন্য যে দায়ী, সেদিকে ইঙ্গিত করেছেন সেবির অ্যাডজুডিকেটিং অফিসার বি জে দিলীপ। আরআইএলকে ২৫ কোটি রুপি জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মুকেশ আম্বানিকে জরিমানা করা হয়েছে ১৫ কোটি রুপি। এ রায় নিয়ে অবশ্য রিলায়েন্সের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
রিলায়েন্স ও মুকেশ আম্বানি ছাড়াও নবি মুম্বই এসইজেড এবং মুম্বই এসইজেডকে জরিমানা করা হয়েছে যথাক্রমে ২০ কোটি ও ১০ কোটি রুপি। শুক্রবার ৯৫ পাতার রায়ে দিলীপের মত, লগ্নিকারীরা জানতেন না যে আসলে এই আগাম লেনদেনের পেছনে রয়েছে খোদ রিলায়েন্সই। তারা ১২টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে বেআইনি লেনদেনে অংশ নিয়ে মুনাফা করেছিল। এতে আরপিএলের শেয়ারের দামে প্রভাব পড়েছিল এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন লগ্নিকারীরা।
বি জে দিলীপ আরো বলেন, শেয়ারবাজারে এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত সংস্থাগুলোর সবসময়ই পরিচালনায় স্বচ্ছতা, দক্ষতা দেখানো জরুরি। তা না হলে বাজারে লগ্নিকারীদের আস্থা নষ্ট হয়। এক্ষেত্রে যেভাবে লেনদেনে কারচুপি হয়েছে, তা শেয়ারবাজারের স্বার্থের পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের মার্চে রিলায়েন্স পেট্রোলিয়ামের ৪ দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত আরআইএলের। ওই বছর নভেম্বরে শাখা সংস্থাটির শেয়ার আগাম বাজারে লেনদেন হয়। ২০০৯ সালে সেটিকে নিজেদের সঙ্গে মেশায় আরআইএল। এক্ষেত্রে আগাম লেনদেনের নিয়ম ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছিল সেবি। এ মামলা রিলায়েন্স সমঝোতার মাধ্যমে মেটাতে চাইলেও রাজি হয়নি তারা।
দীর্ঘ তদন্তের পরে ২০১৭ সালের মার্চে রিলায়েন্স এক বছর শেয়ারবাজারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ডেরিভেটিভ লেনদেন করতে পারবে না বলে নির্দেশ দেয় সেবি। আরো ১২টি সংস্থাকেও এ নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি ‘অন্যায়ভাবে মুনাফা করা’ ৪৪৭ কোটি রুপি ফেরত দিতেও বলা হয় রিলায়েন্সকে। সঙ্গে ২০০৭ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে দিতে হতো ১২ শতাংশ সুদও। দুইয়ে মিলে সেই অংক প্রায় ১ হাজার কোটি রুপি। সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়া।