দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার ইতালির উত্তরাঞ্চলের লম্বার্ডি এলাকায় ১৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই ৫০ হাজার মানুষের ১০টি শহর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব শহরের জনগণকে বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। স্কুল, বার, চার্চ, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ জনসমাগমস্থলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন চিকিৎসকও রয়েছেন। ইতালিতে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ঘটা করোনাভাইরাসের প্রথম ঘটনা এটি। যে পাঁচজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা কেউ চীন সফর করেননি।
গতকাল ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্প্রেঞ্জা বলেন, চীনে পাদুয়া শহরে ৭৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল মারা গেছেন। ওই এলাকার আরেক ব্যক্তির ক্ষেত্রেও সংক্রমণের ইতিবাচক খবর মিলেছে।
পাদুয়া শহর থেকে ওই ভাইরাস ছড়ানো ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইতালির যে শহরগুলোয় জনগণের চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে, তার প্রথমেই রয়েছে ১৫ হাজার জনসংখ্যার কদোগনো। এখানকার কয়েকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত ইতালির ২০০ ব্যক্তিকে নিজস্ব কোয়ারেন্টাইনে (রোগ সংক্রমণের আশঙ্কায় পৃথক রাখা) রাখা হয়েছে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে বলেন, ‘অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার সাবধানতা’ নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা। এ ছাড়া সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯–এ এখন পর্যন্ত ৭৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। গত ডিসেম্বরে এ রোগের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩৬০ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন এর উৎপত্তিস্থল চীনে। এর বাইরে ১ হাজার ১৫০ রোগী অন্য দেশগুলোয় শনাক্ত হয়েছেন, যার মধ্যে মারা গেছেন আটজন। তথ্যসূত্র - স্কাই নিউজ, আলজাজিরা