অগ্রাধিকার পাবেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে নিয়োজিত কর্মীরা।
গত সপ্তাহে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ছাড়া মহামারির লড়াইয়ে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাবেন। তাঁদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। এরপরের গ্রুপ হিসেবে ৫০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ টিকা পাবেন। এরপর অনূর্ধ্ব ৫০ বছর বয়সী অসুস্থ ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
গত রোববার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি ব্যবহারের জন্য দুটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়। এ দুটি টিকা হচ্ছে ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের তৈরি সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত টিকা ‘কোভিশিল্ড’।
ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দু জানায়, জাতীয় পর্যায়ে দুই হাজার ৩৬০ জনকে টিকাদান প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যারা দেশজুড়ে এই কর্মযজ্ঞে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এরই মধ্যে ৬১ হাজারের বেশি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, দুই লাখ টিকা প্রয়োগকারী এবং তিন লাখ ৭০ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এদিকে ভারতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে এক কোটি চার লাখ ৫১ হাজার তিনশ ৪৬ জন এবং মারা গেছে এক লাখ ৫১ হাজার ৪৮ জন।