বৃস্পতিবার রাতে বাইডেন বলেন, আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং তা এখনই করতে হবে। এ সময় তিনি আগামী মাসে কংগ্রেসের যৌথ সেশনে দ্বিতীয় ও আরো বিস্তৃত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা সামনে আনবেন বলেও জানান। সেই উদ্যোগে দীর্ঘমেয়াদি বিকাশ, যেমন অবকাঠামো ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বাইডেনের পরিকল্পনায় কভিড-১৯-সংক্রান্ত মহামারী সহায়তা বিল ৪০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পাশাপাশি সরাসরি ত্রাণ হিসেবে খরচ করা হবে ১ ট্রিলিয়ন এবং কমিউনিটি ও ব্যবসায়িক খাতগুলোর জন্য রাখা হয়েছে ৪৪০ বিলিয়ন ডলার। এটি গত মাসে অনুমোদিত দ্বিপক্ষীয় বিলের দ্বিগুণ এবং মার্চ, ২০২০ সালের কেয়ার অ্যাক্টের চেয়ে সামান্য কম।
এছাড়া এখানে এমন কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যার লক্ষ্য বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিকে পুনরুজ্জীবিত করা। যেখানে বাইডেন চান ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টায় ১৫ ডলার পর্যন্ত উন্নীত করতে, যা কিনা সংকটে থাকা রাজ্য এবং স্থানীয় সরকারগুলোকে সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে নিরাপদে স্কুল খোলার সুযোগও তৈরি করে দেবে।
কিন্তু কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়নে রিপাবলিকানদের তরফ থেকে বাধা আসতে পারে। যেমন রাজ্যে সহায়তা এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সিনেটে অন্তত ৬০ ভোটের প্রয়োজন হতে পারে। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভোটে ডেমোক্র্যাটদের হাতে নিয়ন্ত্রণ যেতে পারে। অন্যদিকে বেকারত্ব সুবিধা, প্রণোদনা তহবিল এবং সম্ভাব্য সর্বনিম্ন মজুরি বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো হয়তো বিশেষ বাজেট টুলের অধীনে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মধ্য দিয়ে যেতে পারে।
উইলমিংটনে নিজের বক্তব্যে বাইডেন বলেন, চাকরিতে বিনিয়োগ ফিরে আসা ও জাতিগত সমতা দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক ক্ষতি রোধ করতে পারবে। এ সময়টা সংকটের, আমাদের নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই।
আইনপ্রণেতাদের সামনে উপস্থাপিত হওয়ার আগেই শীর্ষ সারির সিনেট সদস্য চাক শুমার ও হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বাইডেনের এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সূত্র ব্লুমবার্গ ও এএফপি।