দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আবর্তনশীল এই তহবিলের আকার হবে মোট এক হাজার কোটি টাকা। এর সুবিধাভোগী হবেন, রপ্তানি নীতি ২০১৮-২১-এর আওতাধীন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ও বিশেষ উন্নয়নমূলক খাত। তহবিলের সার্বিক উদ্দেশ্য হবে রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই তহবিলের সুবিধা নেয়ার জন্য প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক একাটি চুক্তি করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পার্টিসিপেটিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (পিএফআই) হিসেবে গণ্য করা হবে। গ্রাহক পর্যায়ে এই তহবিলের ঋণের সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ। তবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১ শতাংশ সুদ আদায় করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের মেয়াদ পাঁচ বছরের কম হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফার সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মার্জিন সুদ আদায় করতে পারবে ব্যাংক। পাঁচ বছরের বেশি কিন্তু আট বছরের কম মেয়াদি ঋণের সুদ হার হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ এবং আট বছরের বেশি কিন্তু ১০ বছরের কম হলে সেই ঋণের সুদ হবে সব মিলিয়ে ৪ শতাংশ।
এই তহবিল থেকে ঋণ নিতে হলে ঋণ-মূলধনের অনুপাত হতে হবে ৭০: ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ ৩০ শতাংশ মূলধনের বিপরীতে ৭০ শতাংশ ঋণ নিতে পারবে গ্রাহক। এছাড়া যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০ শতাংশের বেশি, তারা এই তহবিল ব্যবহার করে ঋণ নিতে পারবে না। পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পেতে আবেদনের সময় মূলধন পর্যাপ্ততা, সংস্থান সংরক্ষণ, নগদ সংরক্ষণ হার (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ তরল সম্পদ সংরক্ষণ হার (এসএলআর) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হারে সংরক্ষণ করতে হবে। ক্যামেলস রেটিং হতে হবে ন্যূনতম ৩ শতাংশ।