দশ উইকেটে জয় যে বাংলাদেশ পাচ্ছে না, সেটি অবশ্য নিশ্চিত হয়ে গেছে। অধিনায়ক হিসেবে এই ম্যাচ দিয়েই শুরু করা তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ভালো শুরু করেছিলেন লিটন দাস, কিন্তু মাঝে কয়েক ওভারে রান আটকে দেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলে নিয়েছে লিটন দাসের উইকেট। এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি তিনে নামা নাজমুল হোসেনও। এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১৬ ওভারে ২ উইকেটে ৫৭। তামিম অপরাজিত আছেন ৫১ বলে ২৭ রানে। তাঁর সঙ্গী মাত্রই ক্রিজে আসা সাকিব আল হাসান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আলজারি জোসেপ দারুণ বোলিং করছেন। বেশ কয়েকবার ব্যাটসম্যানের ব্যাট ফাঁকি দিয়েছে তাঁর বল। ভাগ্য একটু এদিক-ওদিক হলে উইকেট পেয়েই যেতেন উইন্ডিজের ২৪ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার।
কিন্তু তাঁর সঙ্গে বোলিং উদ্বোধন করা অন্য বোলার চেমার হোল্ডারকে শুরু থেকেই আক্রমণ করে গেছে বাংলাদেশ। ৩ ওভারে ২৬ রান দিয়েছেন এই ম্যাচ দিয়েই অভিষিক্ত হোল্ডার। তাঁর কারণেই প্রথম ৭ ওভারে লিটন ও তামিম তুলে নেন ৩৭ রান। এ সময়ে ৬টি চার মেরেছে বাংলাদেশ, এর মধ্যে একটি জোসেফের বলে, তৃতীয় ওভারে যেটি মেরেছিলেন তামিম। বাকি ছয়টিই হোল্ডারের বলে। অবশ্য সপ্তম ওভারের শেষ বলে জোসেফের একটি বল লেগ বাই চার হয়েছে। ৭ ওভার শেষ হওয়ার সময়ে তামিমের রান ছিল ৩২ বলে ২০, লিটনের ১২ বলে ১০।
জোসেফকে সরিয়ে উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ অষ্টম ওভারে স্পিনার নিয়ে আসতেই বাংলাদেশের রানে বাঁধ পড়ে। একদিকে জোসেফ, অন্যদিকে আকিল মিলে চেপে ধরেছিলেন লিটন-তামিমকে। পরের ৫ ওভারে আসে মাত্র ৪ রান! ১৩তম ওভারে অবশ্য এক-এক করেই ছয় রান নেন তামিম-লিটন।
একদিকে রান আটকে যাওয়া, অন্যদিকে বাউন্ডারি না আসা – এই চাপেই হয়তো ভেঙে যায় লিটনের ধৈর্যের বাঁধ। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আকিলের বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান বাংলাদেশ ওপেনার, আজ উইন্ডিজের অভিষিক্ত ছয়জনের একজন আকিলের প্রথম ওয়ানডে উইকেট এটি।