চলতি বছর বৈশ্বিক টেলিকম খাতের রাজস্বে কিছুটা প্রবৃদ্ধির দেখা মিলবে। চলমান মহামারীর কারণে সংযোগ এবং রিমোট ওয়ার্কের চাহিদা ক্রমে বাড়ছে। এর সুবাদে ২০২৩ সাল নাগাদ বৈশ্বিক টেলিকম খাতের রাজস্ব করোনা মহামারি শুরুর আগের অবস্থায় ফিরবে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছরজুড়েই বিশ্ববাসী ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য হয়েছে। যে কারণে রোমিং, প্রি-পেইড এবং ভয়েসসহ বিভিন্ন সেগমেন্টে টেলিকম খাতের রাজস্ব কমেছে।
গত বছর বিশ্ববাসী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংকটের সামনে দাঁড় করিয়েছে। ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলির সঙ্গে সংযুক্ত থাকা, বিনোদন ও শিক্ষার নতুন মাধ্যম খোঁজা এবং স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়ার জন্য টেলিকম সেবা, প্রযুক্তি, মিডিয়া ও এন্টারটেইনমেন্ট সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবন কতটা জরুরি ছিল, তা প্রত্যেকে পরখ করেছে। গত বছর বিশ্বজুড়ে টেলিকম সংযোগের চাহিদা বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু অন্যান্য সেগমেন্টে টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা খুব একটা ভালো পর্যায়ে ছিল না।
অ্যানালাইসিস ম্যাসনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গত বছর বৈশ্বিক টেলিকম খাত যে পরিমাণ রাজস্ব খুইয়েছে তার এক-তৃতীয়াংশ চলতি বছর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। তবে বিশ্বজুড়ে টেলিকম অপারেটরগুলোর ওপর বিদ্যমান চাপ কমবে না।
এ বিষয়ে অ্যানালাইসিস ম্যাসনের কনজিউমার সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক স্টিফেন সেল বলেন, আগামী এপ্রিল থেকে অনেক অপারেটরকে রাজস্ব প্রবৃদ্ধির প্রতিবেদন দিতে দেখা যাবে। তবে আগামী তিন বছরের আগে সম্পূর্ণরূপে রাজস্ব ঘাটতির মুখ থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে না। সূত্র কনসালট্যান্সি ডটইউক।