ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এসব নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাইডেন বুঝিয়ে দিলেন, পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি পাল্টে দিতে তিনি বিলম্ব করতে রাজি নন। নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের দিক থেকে ট্রাম্প ও বারাক ওবামা-দুজনকেই পেছনে ফেলেছেন জো বাইডেন। ট্রাম্প শপথগ্রহণের পর দুই সপ্তাহ সময়ে ৮টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন। আর বারাক ওবামা স্বাক্ষর করেছিলেন ৯টিতে।
এর আগে অভিষেক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে জো বাইডেন বলেন, সহিংসতা ও বিভাজনের রাজনীতি ও সংস্কৃতির বিপরীতে এক গণতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্র ও ঐক্যের প্রকল্প হাজির করছেন তিনি।
জো বাইডেনের উপদেষ্টাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সীমান্ত দেয়াল, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত বিভিন্ন বিতর্কিত পদক্ষেপ ও আদেশকে পাল্টে দিতে বিভিন্ন নির্বাহী আদেশে সই করবেন বাইডেন। এর মধ্যে অভিবাসীবান্ধব পদক্ষেপ হিসেবে তিনি শুরুতেই তাঁর নতুন অভিবাসন পরিকল্পনা নিয়ে এগোবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
বাইডেন প্রশাসনের প্রেসসচিব জেন সাকি আগেই জানিয়েছিলেন, স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলের মধ্যেই করোনা মহামারি মোকাবিলা, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও জাতিগত বৈষম্য নিরোধে নির্বাহী আদেশে সই করবেন বাইডেন। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে এ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশও দেবেন। শেষ পর্যন্ত সেই পথেই এগোলেন তিনি।