এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৩ হাজার ২৯০ জনে। এই পরিসংখ্যানে সকাল ৯টা পর্যন্ত হাসপাতাল ও হাসপাতালের বাইরে করোনায় মৃতের সংখ্যা যুক্ত করা হয়েছে। সূত্র বিবিসি।
এদিকে গতকাল (২০ জানুয়ারি) করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৯০৫ জন। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৩৫৫ জন, সোমবার ছিল ৩৭ হাজার ৫৩৫ জন। বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ লাখ পাঁচ হাজার ৭৫৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও তিন হাজার ৮৮৭ জন। এ পর্যন্ত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৪৬ লাখ নয় হাজার ৭৪০ জন।
এদিকে দেশটিতে ফের বেড়েছে করোনার নতুন ধরণের প্রকোপ। এনিয়ে ইতোমধ্যে দেশটিতে মাঝ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে স্কুল, কলেজ। সেইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কোন কারণ ছাড়া লোকজনের বাড়ির বাইরে যাওয়ায় বারণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ২ ডিসেম্বর ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ৮ ডিসেম্বর দেশটিতে এই টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। সর্বপ্রথম এ টিকা নেন ৯০ বছরের বৃদ্ধা মার্গারেট কিনান এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম যারা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কর্মরত এক নার্স। সান্দ্রা লিন্ডসে নামের ওই নার্স নিউ ইয়র্ক শহরের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ১৪ ডিসেম্বর সরাসরি প্রচারিত এক ভিডিও ইভেন্টে এই টিকা গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। এরপর একে একে বিশ্বের ১৮৫ টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।