বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে ভারতবাসীরা আনন্দিত। বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী।
অন্যদিকে, স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ে সুখ ও দুঃখে ভারত-বাংলাদেশের পাশে ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বন্ধুত্বের এ বন্ধন চিরজীবন থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু’র মেজবান হলে ‘ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুই দেশের এমন সুসম্পর্কের বিষয়ে তুলে ধরা হয়।
এছাড়াও দুই দেশের সম্পর্কের বিষয় তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, স্বাধীনতার সময় ভারত হাত না বাড়িয়ে দিলে হয়তো আজকের এ স্বাধীনতা পাওয়া যেত কিনা- তা নিয়ে সংশয় ছিল। তাদের সহযোগিতায় এ দেশ খুব দ্রুতই স্বাধীনতা লাভ করেছে। শুধু তাই নয়, ওই সময়ে ভারত সরকার ১ কোটি শরনার্থীকে অন্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। অথচ আজকে আমরা মাত্র ১১/১২ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে খুবই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভারত স্বাধীনতার সময় যেমনভাবে এগিয়ে এসেছিল, ঠিক তেমনি আজকের কোভিডের মহামারীতে ভ্যাকসিন নিয়ে এগিয়ে এসেছে। তাদের সাথে যে বন্ধুত্বের বন্ধন আছে, তা চিরজীবন থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের নানা সহায়তার কথা উল্লেখ করে স্মতিচারণ করেন এ মুক্তিযোদ্ধা।
স্বাগত বক্তব্যে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী আরও বলেন, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। অর্থাৎ একসাথে সবার উন্নতি এই লক্ষণ অনুসরণ করে ভারত। ভারত ও বাংলাদেশ ১৯৭১ সাল থেকে একসঙ্গে অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। দুই দেশের অর্থনীতি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকে আমাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। ভারত সবসময় বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমাদের কাছে প্রতিবেশী প্রথমে এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, মোছলেম উদ্দিন আহমদ, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, জাফর আলম, খদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম সুজন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর প্রমুখ।