শ্লেসভিগ হলস্টাইন রাজ্যের নোয়েমুনস্টার ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সদস্য শুলজ জানিয়েছেন, যারা করোনায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের বাড়িতে থাকার কথা। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে এটা খুবই জরুরি। কেউ যদি এই নিয়ম না মানেন, তাহলে তারা অন্যদের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবেন। তাই সেই নিয়ম না মানলে এই জেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানুয়ারিতে চালু হওয়া কারাগার চিরাচরিত কারাগারের মতো নয়। এখানে টিভি, ল্যাপটপ, ফোন এবং অন্য সকল সুবিধা পাওয়া যাবে। যাদের এখানে রাখা হবে, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ব্যবস্থা হবে। তাদের জন্য আরামদায়ক বিছানা থাকবে। হাঁটার জায়গা থাকবে। শুলজ জানিয়েছেন, নিজের বাড়ির সকল স্বাচ্ছন্দ্য মিলবে জেলের নিভৃতবাসে।
কেউ যদি নিজের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বারবার অস্বীকার করেন, তাহলেই তাকে জেলে রাখা হবে। তবে তার আগে দেখতে হবে, তারা নির্দেশ অমান্য করে বাইরে গিয়েছেন এবং তাদের থেকে অন্যদের করোনা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে কিনা। তখন পুলিশ তাদের বাড়িতে যাবে এবং প্রথমে তাদের জরিমানা করা হবে। তারপর কোর্টের নির্দেশে তাদের করোনা কারাগারে পাঠানো হবে।
এদিকে, সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি থাকা সাক্সোনি রাজ্যের প্রশাসন ড্রেসডেনে এ মাসেই একটি কোভিড কারাগার চালু করছে৷
স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক এমন কারাগার নির্মাণের সমালোচনা হচ্ছে৷ অনেকে একে মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ জার্মানির বাম দলও এর সমালোচনা করেছে।