সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে যোগ্য বিনিয়োগকারীকে কমপক্ষে দুই সদস্যের দর প্রস্তাবকারী কমিটি গঠন করতে হবে। যে কমিটির সদস্যরা এ সংশ্লিষ্ট জ্ঞানী, দক্ষ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ হবে। ওই কমিটি শেয়ার মূল্যায়ন বিশ্লেষণ শেষে বিডিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য সুপারিশ করবে। যারা বিডিংয়ের জন্য শেয়ারের পরিমাণ ও মূল্য উল্লেখ করে দেবে।
এ ক্ষেত্রে ওই কমিটিকে তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। পদ্ধতিগুলো হল- নিট অ্যাসেট ভ্যালু পদ্ধতি, ইল্ড পদ্ধতি ও ফেয়ার ভ্যালু পদ্ধতি।
কমিটির সুপারিশের আলোকে যোগ্য বিনিয়োগকারী বিডিংয়ে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন বা স্টক এক্সচেঞ্জের তদন্তের জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারীর এই সিদ্ধান্ত ও কমিটির প্রক্রিয়া সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া বিডিংয়ের জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারী ও কমিটিকে ডিউ ডিলিজেন্স চর্চা ও পেশাগত মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে।
বিডিংয়ের দর নির্ধারণে বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে কোম্পানির আর্থিক, প্রযুক্তিগত, ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, মালিকানা ও সুশাসনকে বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কোনো ধরনের প্রভাব বা চাপে না পড়ে সততার সঙ্গে বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। যে সিদ্ধান্ত কোনোভাবে ইস্যুয়ার কোম্পানি, ইস্যু ম্যানেজার ও অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
যোগ্য বিনিয়োগকারীকে তার প্রস্তাবিত দরের মূল্যায়ন রিপোর্ট বিডিং শেষ হওয়ার দুই কার্যদিবসের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে বলা হয়েছে। এরপর স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ বিডিংয়ের তথ্য সাত কার্যদিবসের মধ্যে জমা দেবে। এ ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের দর মূল্যায়নে কোনো ধরনের অসামঞ্জস্য পেলে, তা কমিশনকে জানাবে।