চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া জানিয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ভুয়া ভ্যাকসিনের ব্যবসা করছিল চক্রটি।
সম্প্রতি জিয়াংসু, বেইজিং ও শানডং এলাকা থেকে অন্তত ৮০ জনকে গ্রেফতার করেছে চীনা পুলিশ। অভিযুক্তরা অন্তত তিন হাজার ডোজ নকল ভ্যাকসিন বানিয়েছিল।
পুলিশের বরাতে শিনহুয়া জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইনজেক্টরগুলোতে স্যালাইন ভরে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নামে বাজারজাত করত এবং সেগুলো চড়া দামে বিক্রি করে বিপুল অর্থ আয় করেছে।
চীনে ভুয়া ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিক্রয় সম্পর্কিত অপরাধ এবং ভ্যাকসিনের আড়ালে জালিয়াতি ও অবৈধ মেডিসিন অনুশীলনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়।
চীনে বর্তমানে দু’টি প্রতিষ্ঠানের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হচ্ছে- সিনোভ্যাক এবং সিনোফার্মের। চীনের বাইরে তুরস্কের মতো আরও কয়েকটি দেশেও চলছে এগুলোর ব্যবহার।
দু’টি প্রতিষ্ঠানই দাবি করেছে, তাদের ভ্যাকসিন ৭৮ শতাংশের বেশি কার্যকর। অবশ্য ব্রাজিলে সিনোভ্যাকের শেষ ধাপের ট্রায়ালে কার্যকারিতা ৫০ দশমিক ৩৮ শতাংশ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
এরপর বেশ কিছু দেশ ভ্যাকসিনটিকে বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে, এমনকি ব্যবহার স্থগিত করেছে কেউ কেউ। তবে এখনো নিজেদের ভ্যাকসিন নিরাপদ বলেই মত দিয়েছে সিনোভ্যাক।
আর চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম জানিয়েছে, ট্রায়ালে তাদের ভ্যাকসিন ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে।সূত্র সিএনএন।