আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এমনটি জানানো হয়েছে।
স্থগিত এক দণ্ডের নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নাভালনির কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন নাভালনির আইনজীবী।
তার সাজা ঘোষণার কঠোর সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মহল। কাউন্সিল অব ইউরোপ এই রায়কে অগ্রহণযোগ্য আখ্যায়িত করেছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব একে ‘ন্যায়ভ্রষ্ট’ আখ্যায়িত করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বলেছেন, এই রায় জনগণের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতি আঘাত।
এর আগে নাভালনিকে এক বছর গৃহবন্দি করে রেখেছিল রাশিয়া কর্তৃপক্ষ। সেই সময়টি এই সাজার মধ্যে থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে নাভালনির গ্রেফতারের পর থেকেই কনকনে শীত উপেক্ষা করে রাজপথে বিক্ষোভে নেমেছেন তার সমর্থকরা। নাভালনির মুক্তি ও প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবিতে রাজধানী মস্কোসহ বিভিন্ন শহরে চলছে বিক্ষোভ।
গত ১৭ জানুয়ারি জার্মানি থেকে রাশিয়ায় ফেরার পর বিমানবন্দরে নাভালনিকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ক্রেমলিনের এই সমালোচকের মুক্তি দাবিতে তীব্র ঠান্ডা আর ভারি তুষারপাত উপেক্ষা করে গত দুই সপ্তাহ ধরে রাস্তায় নামছেন তাঁর হাজার হাজার সমর্থক।
বিষ প্রয়োগে অসুস্থ হওয়ার পাঁচ মাস পর ১৭ জানুয়ারি রাশিয়ায় ফেরার পর বিমানবন্দরেই গ্রেপ্তার করে ৩০ দিনের জেল দেওয়া হয় নাভালনিকে। জার্মানির একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর নাভালনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া সমালোচক ৪৪ বছর বয়সী এই নেতাকে গত বছর আগস্টে রাসায়নিক বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি।