বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ৭৫ বছর বয়সী এ নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ— তিনি আমদানি-রপ্তানির আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং রাজধানী নেপিদোতে অবস্থিত সু চির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ওয়াকি-টকি রেডিও-সহ অবৈধ যোগাযোগের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ— কোভিড মহামারিতে সমাবেশ নিষিদ্ধের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন তিনি। তাকেও দু’ সপ্তাহের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর বরাতে জানা যায়, গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সু সিকে দুই সপ্তাহের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। আমদানি-রফতানি আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সু চিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
আরও পড়ুন➥ নাভালনির সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড
আরও পড়ুন➥ ভারতের সঙ্গে বন্দর চুক্তি বাতিল করল শ্রীলঙ্কা
গত ১ ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে রাষ্ট্রপতি বা সু চি-র কথা কেউই শুনেনি। সশস্ত্র বাহিনী প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বে এই অভ্যুত্থানটি ঘটে।
এদিকে, এনএলডির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা ও আইনপ্রণেতাদেরও আটক করে সেনাবাহিনী। দুজন আইনপ্রণেতা জানান, রাজধানী একটি সরকারি হাউজিং কমপ্লেক্সে উন্মুক্ত বন্দীশালায় অন্তত ৪০০ আইনপ্রণেতাকে আটকে রাখা হয়েছে।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের তৃতীয় দিনে ধীরে ধীরে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। দেশটির বড় শহরগুলোর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের চিকিৎসক, ফিজিশিয়ানসহ সেবাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অনেকেই তাদের চাকরি ছেড়েছেন।