এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমার সেনাবাহিনী গত সোমবার দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিকে বন্দি করার পর ক্ষমতা দখল করে।
এর আগে রয়টার্স গতকাল (বুধবার) এক প্রতিবেদনে জানায়, আমদানি-রফতানি আইন লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে দেশটির পুলিশ। রাজধানী নেপিদোর একটি থানায় এ অভিযোগ করা হয়। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সু চিকে আটকে রাখার জন্য বলা হয়েছে দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে।
জানা যায়, মন্ত্রণালয় থেকে ফেসবুক বন্ধের নির্দেশ আসার আগেই পরিষেবাটি ব্যয়ভার করতে নানা সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমারে ফেসবুকের পাশাপাশি ম্যাসেঞ্জার, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। এসব পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে ফেসবুকের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বলেন, মিয়ানমার সরকারকে আমরা দ্রুত ফেসবুক পরিষেবা চালু করার আহ্বান জানাচ্ছি। এতে করে মানুষ তাদের পরিবার, আত্মীয় ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। জরুরি তথ্যের আদান করতে পারে।
গত নভেম্বরে মিয়ানমারে নির্বাচনে অং সান সুচির দল এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে।
বর্তমানে সামরিক প্রধান ও অভ্যুত্থানের নেতা মিন উং লাইং দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। সাবেক জেনারেল মিয়ন্ট সুই ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।