বিবিসির খবরে বলা হয়, নেটব্লকস ইন্টারনেট অবজারভেটরির তথ্যমতে, প্রায় পুরো ইন্টারনেট সেবাই বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম।
এর আগে সোমবার সেনাবাহিনী নির্বাচিত এনএলডি সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করে। এনএলডি নেতা সু চিসহ দলের অধিকাংশ নেতাকে আটক করা হয়। প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও গৃহবন্দি করা হয়। দুদিন পর দেশটির পুলিশ জানায়, আমদানি-রফতানি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সু চির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার ১৪ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষ ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। গত সপ্তাহে অভ্যুত্থানের পর এটাই ছিল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা যেন জড়ো হতে না পারে সেজন্য সামরিক জান্তা দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়।
বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ‘সামরিক স্বৈরশাসক নিপাত যাক, গণতন্ত্রের বিজয়।’ দাঙ্গা পুলিশ নগরীর কেন্দ্রস্থলে যাওয়ার সড়কগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অনেকে লাল রঙের পোশাক পরেছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত সু চির দল এনএলডির প্রতীক লাল রঙ। বিকেলের দিকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। তবে পুলিশকে ঠেকিয়ে এরপরও কয়েকশ বিক্ষোভকারী সড়কে অবস্থান নিয়েছিল।
উল্লেখ্য, অধিকারকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিল। এর পরপরই জান্তা সরকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়।