মঙ্গলবার জাতীয় মহাকাশ কর্মসূচি এবং তুর্কি স্পেস এজেন্সি-র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এমন পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
এরদোয়ান বলেন, ‘২০২৩ সালের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আমারা হাইব্রিড রকেট পাঠাবো। আল্লাহ তাআলা চাইলে আমরা চাঁদে যাচ্ছি।’ তুর্কি প্রজাতন্ত্রের ১০০ বছর পূর্তিও হচ্ছে ওই সময়।
তবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। গত মাসে তুর্কি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্ভাব্য সহযোগিতার ব্যাপারে টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্কের সঙ্গে কথা বলেছেন এরদোয়ান।
তুরস্কের মহাকাশ অভিযান সম্পর্কে ১০টি লক্ষ্যের ঘোষণা দিয়ে এরদোয়ান জানান, এক তুর্কি নাগরিককেও মহাকাশের বৈজ্ঞানিক মিশনে পাঠানো হবে।
গত মাসে স্পেসএক্সের সঙ্গে যৌথভাবে তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্র থেকে টার্কস্যাট ফাইভএ স্যাটেলাইট পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠিয়েছে। টার্কস্যাট ফাইভবি এ বছরের দুই তৃতীয়াংশ সময়ের মধ্যে উৎক্ষেপণ করা হবে।
এদিন আগামী ১০ বছরের জন্য বেশকিছু পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন এরদোয়ান। এর মধ্যে চাঁদে রকেট পাঠানো ছাড়াও মহাকাশ বন্দর তৈরির মতো বিষয়গুলোও রয়েছে।
মহাকাশ অভিযানে কত অর্থ খরচ হবে, তা জানা যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে এরদোয়ান স্পেসএক্সের প্রধান এলন মাস্কের সঙ্গে কথা বলেছেন। তুর্কি কোম্পানিগুলিকে মহাকাশ অভিযানে সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। স্পেস এক্সের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুরস্কের উপগ্রহ টার্কস্যাট ৫এ মহাকাশে গেছে।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তুরস্কের প্রথম স্যাটেলাইট আইএমইসিই। এটি তুরস্কের সামরিক ও বেসামরিক উদ্দেশ্য হাসিলে ভূমিকা রাখবে।