সূত্র মতে, ১৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে জাপানে একটি সাবসিডিয়ারি চালু করবে টিএসএমসি, যা ম্যাটেরিয়াল রিসার্চ সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
সম্প্রতি গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আর্থিক খতিয়ান প্রকাশ করেছে টিএসএমসি। যেখানে দেখা যায়, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা আয়ে রেকর্ড করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট কভিড-১৯ মহামারীতে বাড়ি থেকে কাজ শুরু হওয়ায় প্রিমিয়াম ডিভাইসগুলোর জন্য উন্নত চিপের চাহিদা বেড়ে যায়। এতে চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটির মুনাফায় রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
টিএসএমসি ক্রমবর্ধমান চিপের চাহিদা মেটাতে চলতি বছর উন্নত চিপ উৎপাদন ও বিকাশের জন্য মূলধন ব্যয় ২ হাজার ৫০০ কোটি থেকে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উন্নীত করবে, যা গত বছরের মূলধনি ব্যয়ের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। যে কারণে চলতি বছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের বার্ষিক রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করেছে। বিশ্বজুড়ে চিপের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে ডিভাইস নির্মাতারাই পণ্য উন্নয়নে প্রয়োজনীয় চিপ পাচ্ছেন না।
চিপ সংকটের কারণে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
টিএসএমসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় ১ হাজার ২৭০ কোটি থেকে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে পৌঁছানোর মাধ্যমে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে। যেখানে গত বছরের একই প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় ছিল ১ হাজার ৩০ কোটি ডলার। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্য ৫৬ হাজার ৭০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। সূত্র রয়টার্স।