তদন্ত দলের একজন সদস্য অস্ট্রেলিয়ান অণুজীব বিজ্ঞানী ডোমিনিক ডুয়ের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে এ দাবি করেছেন।
তাঁর দাবি, প্রথম দিকে করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীদের প্রাথমিক তথ্য (র ডেটা) চাওয়া হলেও তাদের শুধু সারসংক্ষেপ দেওয়া হয়েছে।
ডোমিনিক ডুয়ের বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানে যে ১৭৪ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছিল তাদের বিষয়ে ‘র ডেটা’ চেয়েছিলাম। প্রথম দিকে যারা আক্রান্ত হয়েছিল তাদের অর্ধেক উহানের সেই আলোচিত সি ফুড মার্কেটের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল।
তিনি বলেন, সে কারণে আমরা খুব করে এগুলো চাচ্ছিলাম। কেন তা দেওয়া হয়নি সে বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে পারব না।
এই পরিস্থিতিতে চীনের প্রতি তথ্য সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন নিয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছে তারা।
করোনার উৎস চিহ্নিত করার জন্য ৩৪ সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম চীনের উহানে যায়।
গত সপ্তাহে চীনে তদন্ত শেষ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, উহান শহরের গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা ‘নেই বললেই চলে’ বলে তাদের মনে হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ দল বলছে, প্রাণঘাতী ভাইরাসটির উৎস ‘অচিহ্নিত থেকে গেছে’। কোন প্রাণী থেকে মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
একই সঙ্গে ২০ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া করোনা উহানের একটি ল্যাব থেকে ছড়ানোর আশঙ্কাও নেই বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ দলটি।
বিজ্ঞানীরা প্রথম থেকেই ধারণা করে আসছেন যে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির হুবেইপ্রদেশের উহান শহরের একটি সি ফুড মার্কেট থেকে ওই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
সি ফুডের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীও ওই মার্কেটে বিক্রি হতো, যা পরে বন্ধ করে দেয় চীনা কর্তৃপক্ষ। গোড়ার দিকে সাপ, বাদুড় ও ভোঁদড়ের দিকে ইঙ্গিত ছিল অনেকের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সেখানে মানবদেহে প্রথম করোনাভাইরাস চিহ্নিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম শনাক্ত চিহ্নিতের আগে কিছু সার্স-কোভ-২ আক্রান্তের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা করা হবে।